1. [email protected] : admin :
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন এর পক্ষ থেকে গণসংগীত শিল্পী এপোলো জামালীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১৬ বার পঠিত

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ভূমিহীন ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন এর প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের প্রধান সম্ময়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন এর সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু, শ্রমিক নেতা রাষ্ট্র শ্রমিক আন্দোলনে আহবায়ক মোঃ মিন্টু মিয়া, রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের নারী নেত্রী জাকিয়া শিশির, রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের সম্মন্য়ক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী প্রমুখ।

শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, এপোলো জামালী একজন বহুগুণের মানুষ ছিলেন তিনি সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন নিপরিত মেহনতী মানুষের জন্য। বহুমাত্রিক এ্যাপোলো জামালী নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বিবাহ করেননি ঘর-সংসার করেননি, মেহনতি শ্রমজীবী মার খাওয়া নিপীড়িত মানুষের ঘরে আলো জ্বালাতে যেয়েই জীবন পার করছেন, মানুষের অধিকার ও মুক্তির পথেই নিজের জীবন স্বার্থকতা খুঁজেছেন। আমরা তার বিদায়ী আত্মার শাস্তি কামনা করি।

রাজনীতিবিদ সংস্কৃতিকর্মী গণসংগীত শিল্পী এপোলো জামালী গত ০২ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে মারা গেছেন।

তিনি একাধারে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গণসংগীত শিল্পী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

রোববার (২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এপোলো জামালী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিরকুমার এপোলো জামালী জীবনের ৪৫ বছর বিপ্লবী রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গণসংস্কৃতি ফ্রন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি অনেক জনপ্রিয় গণসংগীতের রচয়িতা, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। যে কোনো দুর্যোগে তিনি সর্বস্ব উজাড় করে গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন তার বিদায়ী আত্মার শাস্তি কামনা করে শ্রদ্ধা জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

‎জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ ‎ ‎নিজেস্ব প্রতিবেদক: ‎ ‎জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) মো. জহির উদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের করা অভিযোগের ভিত্তিহীনতা তুলে ধরেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান অভিযোগগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেছেন। ‎ ‎মূল্যায়ন কমিটির যৌক্তিক পদক্ষেপ: ‎ ‎নির্দিষ্ট একটি প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়নে সময় বেশি লাগার বিষয়ে জহির উদ্দিন দেওয়ান স্পষ্ট করেছেন যে, দরপত্র মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করছে। তিনি জানান, দরপত্রের ভালো মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে সময় লাগতেই পারে এবং এটি তার একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং কমিটির সম্মতিক্রমেই বাস্তবায়িত হয়। ‎ ‎পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ১৯/২০/২১ অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়নের সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর বোঝা উচিত। এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা- ২০০৮ অনুসারে হয়ে থাকে। অথচ তারা এটি না বুঝেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, যা প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। ‎ ‎ঘুষের অভিযোগ: মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: ‎ ‎ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর আরেকটি গুরুতর অভিযোগ ছিল যে, প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান দরপত্রের জন্য ৬% টাকা অবৈধভাবে দাবি করেছেন। এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “দরপত্র মূল্যায়ন একটি গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত, এখানে আমার একক হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।” ‎ ‎তিনি আরও বলেন, “একটি দরপত্র বাতিল করার ক্ষমতা আমার একার হাতে নেই। এটি বিধিবদ্ধ নিয়মের মধ্যেই হয়ে থাকে। অথচ কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” ‎ ‎ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অসৎ উদ্দেশ্য: ‎ ‎বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা, যাতে নিজেদের পক্ষে সুবিধা আদায় করা যায়। প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান বরাবরই দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে কাজ করার পক্ষে ছিলেন, যা কিছু অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে। ‎ ‎ ‎সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান ও তার দল সময় নিয়ে দরপত্র মূল্যায়নের কাজ করছে। কিন্তু কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রকৌশলী মিথ্যা অভিযোগের শিকার না হন এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়। ‎ ‎

All rights reserved © 2019
Design By Raytahost