স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা উদ্ধারের চলতি বছরের প্রথম মাসের পনের তারিখ এ স্থানীয় গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ললিন চন্দ্র রায় নামে এক ভুক্তভোগী।
ললিণ চন্দ্র রায় উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের দরবারু রামের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ওই ইউনিয়নের বিশ্বাসপুর গ্রামের তুলশী রায়ের মেয়ে সুমী রানীর সাথে প্রায় পাঁচ বছর আগে ললিণ চন্দ্র রায় এর ছেলে সুকুমার এর সাথে হিন্দু শাস্ত্রীয় বিয়ে হয়। সুকুমার ও সুমী দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সুকুমারের সাথে বিয়ের পর থেকে সুমী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সুকুমার সংশোধন হওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সে সংশোধন না হয়ে সুকুমার এর পরিবারের নামে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে গত ৯/৭২৪ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৫৫/২০২৪ ।
চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারী সুমীর মাতা রেণুকা রানী সুকুমারের বাসায় গিয়ে তার পিতা ললিণ চন্দ্র রায় কে একা পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে। হুমকি ধামকি দিয়ে ফেরার সময় ললিণ চন্দ্র রায়ের শোবার ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণলংকার, প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও গরু বিক্রির নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রেনুকা রানীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে গ্রাম্য শালিশী আদালতের বিচারক ও খনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনার ব্যাবহৃত মুঠো ফোন নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের এলাকা বাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ঘরে সুসম্পর্ক না থাকায় তৃতীয় পক্ষের ইন্দোনে এমন ঘটনা গুলোর জন্ম হচ্ছে। চুরি ও পরকিয়ার ঘটনা সত্য কি মিথ্যা জানা নেই তবে আমরা চাই বিষয় গুলো সমাধান হওয়ার দরকার। অন্তত সুকুমার ও সুমী দম্পতির সন্তানের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে। আশা করি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজ্ঞ আদালতের বিচারক একটি সুস্থ সমাধান দিবেন যেন আগের মত ওই দম্পতি সংসারে ফিরে আসে।
Leave a Reply