জয়ন্ত সাহা যতন, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল বেলকা খেয়াঘাট। সেই খেয়াঘাটে নৌকায় পারাপার হতো দু’ অঞ্চলের লোকজন।
আর সেই খেয়াঘাটের উপর একটি ব্রীজের দীর্ঘদিন স্বপ্ন ছিল দুই চরাঞ্চলের মানুষের। তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল।কংক্রিটের খূুঁটির উপর কাঁঠের পাটাতন বসিয়ে প্রায় ৩০ লাখ ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল একটি ব্রীজ। কিন্ত দুঃখের বিষয় ব্রীজ নির্মাণে নানান অনিয়ম থাকায় কিছুদিন আগে ব্রীজটি মাঝখানে চারটি খুটি সহ দেবে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমানে সেই ব্রীজের উপর দিয়ে লোকজনের চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
ঠিক সেই সময় যেন দেবদুতের মতো দুই অঞ্চলের মানুষের মাঝে খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হলেন নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফা মহসিন সরদার। ব্রীজ বন্ধ থাকায় দুই অঞ্চলের লোকজনের সাময়িক অসুবিধা দুর করার জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে নৌকায় ফ্রি পারাপারের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। ওই খেয়াঘাটে একটি ফ্রি নৌকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। যে নৌকার মাধ্যমে কোন টাকা ছাড়ায় সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে দু’পারের লোকজন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত চলাচল করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলকা খেয়াঘাট পরিদর্শনকালে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত নৌকায় দু’পারের লোকজনের ফ্রি পারাপারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজটি আমরা মজবুত করে ঠিক করার ব্যবস্থা করবো। যতদিন পযর্ন্ত ব্রীজটি ঠিক হচ্ছে না ততদিন পযর্ন্ত আপনারা এই নৌকায় কোন টাকায় ছাড়ায় চলাচল করবেন। আর কোন দালাল চক্র এতে বাঁধা দিলে আপনারা আমাদের জানাবেন আমারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের সদস্য নাদিম হোসেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস, বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল্যুলাহ, হাসানুর রহমান হাসান সহ স্থানীয় সুধীজন।
Leave a Reply