1. [email protected] : admin :
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে জনজীবনে অসস্থি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
  • ১১৬ বার পঠিত

 

সদরপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুর ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রি বিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকোলি) এর ভেলকি
বাজিতে জনজীবনে অসস্থি নেমে এসেছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে জনজীবন বিপর্যস্থ। ব্যহত হচ্ছে স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া।
এ ছারাও বিদুৎ এর ভেলকি বাজির কারনে সদরপুর উপজেলার অটোচালিত রিক্সা ভ্যান গাড়িতে ঠিক মতো চার্জ না দিতে পেরে কর্মহীন হয়ে পরেছে অনেক অটো চালক। অভিযোগ রয়েছে সদরপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে। বিদ্যুৎ এর কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেন যে, বিদুৎ এর লোকজন গ্রাহকের মিটার না দেখেই প্রতি মাসে ভৌতিক বিল করা হয় বিদুৎ অফিসের ইচ্ছা খুসী মতো। আবার অনেক গ্রাহক বলেন যে, তাদের প্রতি মাসে বিল না করে ৩/৪ মাস পরে একবারে বিল করার কারনে গ্রাহকদের গুনতে হয় বাড়তি টাকা। আবার কিছু গ্রাহক নিজ বাড়িতে অটো গাড়ি চার্জ করলেও সামান্য উৎকোচের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক বিল না নিয়ে নেওয়া হয় আবাশিক বিল। আবার অনেক গ্রাহক নিজ বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ এর সংযোগ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ দেখেও না দেখার ভান করছেন বলেও জানান অনেক্র। এ ছারাও সদরপুর বিদ্যুৎ বিভাগের রয়েছে বেস কয়েকজন গেটিজ নামধারী দালাল। সেই দালালেরা (গেটিজ) বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ এর সংযোগ দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। আবার অনেক গেটিজ জনসাধারণের কাছ অফিসারদের কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ এর সংযোগ দিয়ে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে
বিদুৎ বিভাগের কাছে অভিযোগ করলেও মিলছেনা প্রতিকার। বিদ্যুৎ এর কোন গ্রাহক সাইড লাইন দেওয়ার নিয়োম না থাকলেও অনেক গ্রাহক সাইড লাইন দিচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করা হলেও হচ্ছেনা প্রতিকার।
তাছারাও সদরপুর বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন অফিসের গাড়িতে করে বিদ্যুৎ এর বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে মাইকিং করা হয়। আবার প্রতি মাসে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ দিন সদরপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতাধীন ৩৩ কেভি সোর্স লাইন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের বিতরণ লাইনের জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অজুহাত দেখিয়ে কম্পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিদুৎ বন্ধ রাখা হয়। এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে প্রতি মাসে অফিসের গাড়ির জ্বালানি ও মাইকিং খরজ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা কি বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আলাদা বাজেট আসে? যদি না আসে তবে এই টাকা আসে কোথা থেকে। সচেতন মহল মনে করেন সদরপুর বিদুৎ বিভাগের আওতায় প্রায় ১৮ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। তাদের সেবার মান নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই আশা করছেন উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।
সদরপুর বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুস নিয়ে সংযোগ দেওয়া সহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরবর্তীতে প্রমান সহ সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

শিমুল তালুকদার
সদরপুর, ফরিদপুর।
০১৭১৯১০৩৬১৫

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost