1. [email protected] : admin :
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে সামাজিকবন

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ৬০ বার পঠিত

 

আনিছ আহমেদ(শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর হলদীগ্রাম ও গোমড়া এলাকা থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ১একর জমি বালু মহাল ইজারা নিয়ে ২০ একর জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ স্থানীয়বাসিন্দাদের। বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। হুমকির মুখে পড়েছে সন্ধাকুড়া, গোমড়া নদীরপাড় ঘেষে সৃজিত বন বিভাগের সামাজিক বন।

 

 

 

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, ইজারাদারের লোকজন ২৫/৩০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। গোমড়া,হলদিগ্রামের ভারত সীমান্তের ১১০৮ পিলারের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আধকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। অভিযোগ রয়েছে, ইজারাদারের লোকজন বালু উত্তোলনের নীতিমালা ভঙ্গকরে করে উত্তোলন করে আসছে বালু। বেপোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। বন বিভাগের গোমড়া, সন্ধাকুড়া সামাজিক বন হুমকির মুখে পড়েছে। এ অভিযোগ সামাজিক বনের অংশিদার ও বনবিভাগের। অংশিদাররা জানায় মহারশি নদীর হলদিগ্রাম মৌজায় ১ একর ৩ শতাংশ জমি থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি আছে। কিন্ত ইজারাদারের লোকজন সরকারি বিধি লংঘন করে লিজ এলাকার বাইরে অন্তত ২০ একর এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। গোমড়া, সন্ধাকুড়া নদীর সামাজিক বনের পাশে নদীর পাড় ঘেষে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এতে নদীভাঙ্গনের পাশাপাশি সামাজিক বন হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে সরকারি ভাবে বালু উত্তোলনের সীমানা নির্ধারণ করে না দেয়ায় ইজারাদারের লোকজন তাদের ইচ্ছেমত অতিরিক্ত এলাকায় অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন। বালু মহাল ইজারার নীতিমালা অনুয়ায়ী নদীর তলদেশ থেকে জমাটবাধা উর্বর বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। গোমড়া মৌজা বালু মহালের আওতায় না থাকলে ও এখান থেকে অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বালু উত্তোলন করা হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকে বারবার হলদীগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে মেসেজ দেয়া হচ্ছে বলে জানান বিজিবি। তাদের পক্ষ থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বালু উত্তোলনে বাধা নিষেধ করা হলেও ইজারাদারের লোকজন কিছুতেই মানছেন না। বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন ইজারাদারের লোকজন বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় গোমড়া সামাজিক বন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে শেরপুরের জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান ইজারাদারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এব্যাপারে বালু মহালের ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ডিসিকে জানিয়ে নিউজ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সাথে হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost