এইচ.এম.আল-আমিন, স্টাফ রিপোর্টার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার
আদর্শ ফুটন্ত ক্লাব বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৩ এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ সকাল দশটায় আদর্শ স্কুল মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে পাঁচজনকে ট্যালেন্টপুলে এবং বিশ জনকে সাধারণ কোটায় বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদেরকে সনদ, ক্রেস্ট এবং প্রাইজমানি প্রদান করে এএফসিএস ফান্ড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা জোবায়ের তালুকদার।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সাজ্জাদুর রহমান তানভীর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ইমাম হোসেন মিহান।
বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ওয়ারিশা বিনতে আব্বাস এবং তনিমা সাহা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা রাখেন, ফুটন্ত ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম হান্নান, পূর্ব মেহার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সৈয়দ ইয়ার মাহমুদ, রামগতি আছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ উদ্দিন, রাস্তারহাট হাজী এ. গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম, প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল সামাদ, আলী আহম্মদ ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল তাওহীদ তারেক এবং ০৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার নেছার উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ফুটন্ত বৃত্তির সমন্বয়ক জাবের উদ্দিন আরজু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফুটন্ত ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিজানুর রহমান রিপন, রাসেল মাহমুদ এবং কার্যকরি পরিষদ সদস্য মাহবুবুল আলম তারেক।
আবদুস সামাদ রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা জহির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফুটন্ত ক্লাবের উপদেষ্টা আলী মোর্তজা তারেক, ইকবাল হোসেন বাবুল, পূর্ব মেহার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র সাহা এবং সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার হাসান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল আলোয় উদ্ভাসিত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। তাদের সাথে ছিলেন তাদের গর্বিত পিতা-মাতারা। বক্তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতায় তারা যেন পায় নতুন জীবনের সংকেত।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রামগতি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই পরীক্ষা। পরে এ বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয় এ পরীক্ষার ফলাফল।
Leave a Reply